ইন্টারনেট শব্দটি এসেছে international network থেকে। ইন্টারনেটকে সংক্ষেপে নেট বলা হয়। ইন্টারনেট কে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক বা নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটওয়ার্কও বলা হয়। এক কথায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেকগুলো নেটওয়ার্কের সমন্বিত ব্যবস্থাই হলো ইন্টারনেট।
ইন্টারনেটে সংযুক্ত কম্পিউটার গুলোর কাজই হল একে অন্যের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা। এ কারণে বর্তমানে যেটা আদান-প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কাজেই ইন্টারনেটে সুবিধা নেয়া হয়ে থাকে। যেমন পূর্বের চিঠি আদান-প্রদানের কাজকে বর্তমানে ইন্টারনেট নির্ভর Email এ করা হয়।
ঊনসত্তর সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ARPANET(ADVANCE RECHARGE PROJECT AGENCY NETWORK) নামক প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেটের পত্তন ঘটে। আরফানের পরবর্তীতে আশির দশকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সীমিতভাবে উন্মুক্ত ছিল। ১৯৮২ সালে বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনে সহযোগী টিসিপি/আইপি-(transmission control protocol/internet protocol) উদ্ভাবিত হলে প্রথম আধুনিক ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইন্টারনেটের সুবিধা সমূহ:
১. ইন্টারনেট হল বিশাল তথ্য ভান্ডার
২. পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে ইমেইল বা মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়
৩. বিনা খরচে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় কথা বলা যায়
৪. ঘরে বসে বিভিন্ন দেশের পত্র পত্রিকা পড়া যায়
৫. গুগল ম্যাপস এর মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন জায়গার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়
৬. এর মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে অর্থ উপার্জন করা যায়
ইন্টারনেটের কুফল:
১. অনলাইন গেমস, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত আড্ডা
২. অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পণ্য বা সেবার মান সুনিশ্চিত করা সম্ভব হয় না
৩. এর মাধ্যমে কম্পিউটার হ্যাকিং, ভাইরাস, স্পামিং ইত্যাদিতে ঝুঁকি থাকে
৪. দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করাতে আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
৫. যেকোনো খবর দ্রুত ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে